সপ্তদশ শতাব্দীর মাঝে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার ব্যাংকের আবির্ভাব হওয়ায় মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এই উপলব্ধি থেকে অর্থব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জন্ম লাভ করে। মুদ্রাবাজারকে আপন ইচ্ছা ও গতিতে চলতে না দিয়ে একটি সুসংগঠিত এবং নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সৃষ্টি এবং অর্থনীতির কল্যাণ সাধনই এই সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্যে ছিল। সৃষ্টির পর থেকেই মুদ্রা প্রচলন, অর্থ সরবরাহ এবং ঋণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংক পালন করে আসছে। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদগণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে প্রদান করেছেন। যেমন:
অধ্যাপক সেয়ার্সের মতে, "কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা সরকারের অধিকাংশ অর্থনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদন করে এবং যা উক্ত কার্যাবলি সম্পাদনকালে বিভিন্ন উপায়ে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যাবলির উপর প্রভাব বিস্তার করে সরকারের আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করে থাকে।"
অধ্যাপক কিসচ ও এলকিনের মতে "কোনো দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব থেকে সে দেশের মূল্যস্তর ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটিই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।"
ড. এস, এন, সেনের মতে , "কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে ব্যাংকিং সমাজের নেতা, রাজা ও সূর্য সবকিছু। নেতার মতো ব্যাংকিং রাজত্ব শাসন করে এবং সূর্যের মতো (অর্থ ও মুদ্রাবাজারে) জগতে আলো ও শক্তি দেয়।"
আরও দেখুন...